• ২৯ কার্তিক ১৪৩২, বুধবার ১৯ নভেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Governor House

কলকাতা

মমতাকে রাজভবনে আমন্ত্রণ ধনখড়ের

রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আগেও প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। আর এবার সেই ইস্যুতে কথা বলতেই সরাসরি রাজভবনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ জানালেন রাজ্যপাল। বগটুই-কাণ্ডের পর নতুন করে রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। রামপুরহাটের ওই হত্যাকাণ্ডের পর ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করেছেন রাজ্যপাল। আর তারপরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ জানিয়ে চিঠি পাঠালেন তিনি। মঙ্গলবার পাঠানো ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, যাতে চলতি সপ্তাহের মধ্যেই রাজ ভবনে আসেন মমতা।এবারই প্রথম নয়, আগেই রাজভবনে ডাকা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে। তবে এবার, এই আমন্ত্রণ বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। সোমবার সকালেই দিল্লিতে শাহের সঙ্গে জগদীপ ধনখড়ের দীর্ঘ বৈঠক হয়। কী ইস্যুতে আলোচনা হয়েছে, তা নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খোলেননি কেউই। তবে, রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে যে আলোচনার বিষয় ছিল, তা অনুমান-যোগ্য। সম্ভবত, রাজ্য পুলিশের ভূমিকার কথাও বলেছেন রাজ্যপাল। বোমা-বেআইনি অস্ত্র উদ্ধারের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দেওয়ার পরই যে ভাবে তৎপরতা শুরু হয়েছে, তা আলোচনায় উঠেছিল বলে সূত্রের খবর। আর এবার মমতার মুখোমুখি হতে চান রাজ্যপাল।

মার্চ ২৯, ২০২২
দেশ

রুশ বোমায় খারকিভে মৃত্যু ভারতীয় ছাত্রের, রুশ ও ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূতকে তলব নয়াদিল্লির

ইউক্রেনে রুশ হামলার মুখে পড়ে নিহত ভারতীয় পড়ুয়া। মঙ্গলবার খারকিভে বোমা বিস্ফোরণের ফলে এই ভারতীয় পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ইতিমধ্যেই এই কথা জানিয়েছেন। এই পড়ুয়া উত্তর কর্নাটকের বাসিন্দা। মৃত ছাত্রের নাম নবীন শেখারাপ্পা জ্ঞানগউধর। নবীন মেডিক্যাল কলেজের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র ছিলেন। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে দোকানের লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন নবীন। সেই মুহূর্তেই ওই জায়গায় আছড়ে পড়ে রুশ বোমা। এর ফলেই তাঁর মৃত্যু হয়।বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি একটি টুইট বার্তায় জানান, গভীর দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, আজ সকালে খারকিভে বিস্ফোরণের ফলে একজন ভারতীয় পড়ুয়া প্রাণ হারিয়েছে। মন্ত্রণালয় তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। আমরা পরিবারের প্রতি আমাদের গভীর সমবেদনা জানাই। টুইট করে শোকপ্রকাশ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।With profound sorrow we confirm that an Indian student lost his life in shelling in Kharkiv this morning. The Ministry is in touch with his family.We convey our deepest condolences to the family. Arindam Bagchi (@MEAIndia) March 1, 2022 রুশ বাহিনীর বোমাবর্ষণে ভারতীয় ডাক্তারি পড়ুয়া নবীন শেখারাপ্পা জ্ঞানগউধরের মৃত্যুর পরই কূটনৈতিক সক্রিয়তা শুরু করল নরেন্দ্র মোদি সরকার। মঙ্গলবার বিকেলে নয়াদিল্লির রুশ এবং ইউক্রেনীয় রাষ্ট্রদূতকে তলব করে এ বিষয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে বলে বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের খবর। ঘটনায় শোকপ্রকাশ করে টুইট করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।Deeply anguished that an Indian student, Naveen Gyanagoudar, has lost his life today in shelling in Kharkiv, Ukraine.My heartfelt condolences to his family and friends. Such tragedies numb us. Mamata Banerjee (@MamataOfficial) March 1, 2022বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, অবিলম্বে খারকিভ-সহ বিভিন্ন শহরে আটকে পড়া ভারতীয়দের ইউক্রেনের বাইরে যাওয়ার জন্য নিরাপদ পথ (সেফ প্যাসেজ) দেওয়ার বার্তা দেওয়া হয়েছে যুধুধান দুই পক্ষকে। বিদেশ সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিঙলা পৃথক ভাবে রুশ এবং ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক করে এই বার্তা দেন।বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি টুইটারে লিখেছেন, খারকিভ-সহ যুদ্ধবিধ্বস্ত শহরগুলিতে যে ভারতীয় নাগরিকেরা আটকে পড়েছেন, তাঁদের অবিলম্বে নিরাপদ নিষ্কাশনের পথ দিতে বিদেশ সচিব ফের রাশিয়া এবং ইউক্রনের রাষ্ট্রদূতের কাছে দাবি জানিয়েছেন।মঙ্গলবার, যুদ্ধের ষষ্ঠ দিনে ইউক্রেনের বিভিন্ন শহর লক্ষ্য করে আক্রমণের অভিঘাত বাড়িয়েছে রুশ সেনা। মরণপণ প্রতিরোধ করছে ইউক্রেন ফৌজও। এই পরিস্থিতিতে সেখানে আটক ভারতীয়, বিশেষত পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত নরেন্দ্র মোদী সরকার। নিহত নবীনের এক বন্ধু জানাচ্ছেন, খাবার আনতে বেরিয়ে ছিল তাঁর বন্ধু। বাকিরা হস্টেলে থাকলেও নবীন ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকতেন। তাঁর ওই ফ্ল্যাটটি ঠিক গভর্নর হাউসের পিছনে। সেখানেই হামলা করেছে রুশ সেনা।

মার্চ ০১, ২০২২
কলকাতা

মুখ্যসচিবকে ফের তলব রাজ্যপালের

রাজ্যের মুখ্য সচিবকে ফের তলব করলেন রাজ্যপাল। আগামী সোমবার সকাল ১১ টার সময় তাঁকে রাজভবনে তলব করা হয়েছে। টুইট করে তাঁকে রাজভবনে তলব করেছেন রাজ্যের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। টুইটে রাজ্যপাল উল্লেখ করেছেন, গত ৭ ই জানুয়ারি নেতাইয়ে প্রবেশে বারবার বাধা দেয়া হয়েছিল শুভেন্দু অধিকারীকে। এর কারণ জানতেই তলব করা হল রাজ্যের মুখ্যসচিবকে।প্রসঙ্গত, গত ৭ ই জানুয়ারি ঝাড়গ্রামের নেতাইয়ে শহিদ দিবস পালনের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ঝিটকার জঙ্গলের কাছে পুলিশ তাঁর পথ রোধ করে। এরপর রাজ্যপালের কাছে অভিযোগ পত্র পাঠিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। এই অভিযোগের ভিত্তিতে তলব করা হয়েছিল রাজ্যের মুখ্যসচিব ও রাজ্য পুলিশের ডিজিকে । তবে, তাঁরা কেউই উপস্থিত হননি।রাজভবনে না গিয়ে তাঁরা রাজ্যপালকে চিঠি লিখেছিলেন। সেখানে তাঁরা জানিয়েছিলেন, আধিকারিকদের মধ্যে অনেকেই করোনা আক্রান্ত হয়ে আইসোলেশনে আছেন। এর সঙ্গে সঙ্গেই সে সময় একদিকে রাজ্যের পরিস্থিতির দেখভাল, অন্যদিকে গঙ্গাসাগর মেলার কাজে অনেকেই বিশেষ দায়িত্বে রয়েছেন। এ কারণে তাঁরা রাজভবনে যেতে পারছেন না। পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে নেতাই নিয়ে রাজ্যপালের কাছে রিপোর্ট পাঠানো হবে।এভাবে তলব অগ্রাহ্য করায় অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন রাজ্যপাল। রাজ্যের মুখ্যসচিব ও ডিজি কিভাবে বৈঠক বাতিল করলেন? তা নিয়ে হতবাক হয়েছিলেন রাজ্যপাল। এরপর আজ আবার রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে তলব করলেন রাজ্যের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। আগামী সোমবার সকাল ১১ টায় তাঁকে রাজভবনে তলব করা হয়েছে। রাজ্যপালের তলবের পর এবার রাজ্যের মুখ্যসচিব কী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন, সে দিকেই দৃষ্টি রয়েছে রাজ্যের রাজনৈতিক মহলের।

জানুয়ারি ২৯, ২০২২
কলকাতা

Plantation: মোদির জন্মদিনে রাজ্যপালের বৃক্ষরোপণ

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ৭১তম জন্মদিন উপলক্ষে বঙ্গ বিজেপি এলাহি কর্মসূচির আয়োজন করেছে। শুক্রবার সকাল থেকেই দেশের পাশাপাশি রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিজেপির তরফে নানা কর্মসূচি পালন চলছে। এরই মধ্যে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় সস্ত্রীক বৃক্ষরোপণ করেন রাজভবনের ভিতরেই। প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে পরিবেশগত সচেতনতা বৃদ্ধি করতেই এই বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। এই বৃক্ষরোপণ অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন অ্যাসিস্যান্ট চিফ সেক্রেটারি সুনীল গুপ্তা। উল্লেখ্য, আজ প্রধানমন্ত্রীর ৭১ তম জন্মদিন। দেশব্যাপী পালিত হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন। বারাণসী থেকে পশ্চিমবঙ্গ, সর্বত্র মোদির জন্মদিন উপলক্ষে সেবা ও সমর্পণ অভিযান পালন করবে বিজেপি শিবির। প্রতি বছর এক সপ্তাহের জন্য সেবা দিবসে বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কাজ করা হয় গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে। এই বছর তা বাড়িয়ে টানা ২০ দিনের মেগা কর্মসূচিতে দেশজুড়ে কোমর বেঁধে নামছে বিজেপি নেতৃত্ব। ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে ৭ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে কর্মসূচি।

সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২১
কলকাতা

Mamata-Dhankhar: নবান্ন ফেরত হঠাৎ রাজভবনে মমতা

বুধবার ফের একবার রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে দেখা করতে রাজভবনে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন নবান্ন থেকে ফেরার পথে হঠাৎই রাজভবনে ঢুকে যান মুখ্যমন্ত্রী। সূত্রের খবর, রাজ্যপালের সঙ্গে কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে তিনি রাজভবনে এই সফর করছেন। যদিও ঠিক কী নিয়ে রাজ্যের প্রশাসনিক এবং সাংবিধানিক প্রধানের আলোচনা হয়েছে তা এখনও জানা যায়নি। তবে প্রায় ২ ঘণ্টা সময় কাটিয়ে বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ বেরিয়ে আসেন মমতা।আরও পড়ুনঃ আবার লালহলুদে ভাঙন, ইস্টবেঙ্গল ছেড়ে পুরনো ক্লাবে ব্রাইট সূত্রের খবর, রাজ্যে বিধান পরিষদ তৈরি করতে চেয়ে রাজ্য সরকার যেহেতু সক্রিয়তা দেখাচ্ছে, ফলে সেই বিষয় নিয়েই আলোচনা হয়ে থাকতে পারে দুজনের মধ্যে। বুধবার নবান্নে করোনা বিধি সম্পর্কিত একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে তিনি যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখান থেকে বেরিয়ে সোজা রাজভবনের দিকে ঘুরে যায় তাঁর গাড়ির চাকা। সূত্রের খবর, এ দিন পৌনে ৪ টে নাগাদ রাজভবনে ঢোকেন মমতা। সূত্রের খবর, ভোট পরবর্তী হিংসা প্রসঙ্গেও রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রীর সামনে মুখ খুলতে পারেন। এ ছাড়াও বিধানসভায় মুকুল রায়কে পিএসি চেয়ারম্যান করার প্রতিবাদে গতকালই রাজভবনে গিয়ে নালিশ জানিয়ে এসেছিলেন শুভেন্দু অধিকারীরা। সেই নিয়েও মমতা ধনখড়ের আলোচনা হয়ে থাকতে পারে।

জুলাই ১৪, ২০২১
রাজনীতি

Suvendu-Dhankhar: হিংসা নিয়ে রাজ্যপালকে নালিশ শুভেন্দুর

চারদিনের দিল্লি সফর সেরে শনিবারই কলকাতায় ফিরেছেন রাজ্যপাল জনগদীপ ধনখড়। আর রবিবার বিকেলেই তাঁর সঙ্গে দেখা করতে রাজভবনে পৌঁছে গেলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এদিন সন্ধেয় উভয়ের সাক্ষাৎ হয়। শুভেন্দু তাঁকে ফের রাজ্যের ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে নালিশ জানান বলে টুইটে জানিয়েছেন ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)। ইতিমধ্যেইএই একই ইস্যুতে বেশ কয়েককবার তাঁর সঙ্গে দেখা করলেন শুভেন্দু। রাজ্যের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে রাজ্যপালকে হস্তক্ষেপের আবেদন তিনি জানিয়েছেন, সূত্রের খবর এমনই।LOP alleged complicity of state machinery @WBPolice @KolkataPolice in perpetration of gruesome violations of human rights. In barbaric and dastardly criminal acts there has been no investigation, much less arrest of culprits @MamataOfficial. pic.twitter.com/zRf3AKB9US Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) June 20, 2021কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর (Amit Shah) সঙ্গে জোড়া বৈঠক সেরে দিল্লি থেকে শনিবার ফিরেছেন রাজ্যপাল। এমনিতেই ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে ধনকড়ের সঙ্গে অমিত শাহর বৈঠক নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। ঠিক কী বিষয়ে কথা হয়েছে উভয়ের, তা নিয়ে নানা আলোচনা চলছে। ধনখড় নিজেই জানিয়েছেন, রাজ্যের ভোট পরবর্তী (Post Poll Violence) পরিস্থিতি নিয়ে তিনি চিন্তিত। সে কথাই প্রকাশ করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে। এরপর তিনি সোমবার আবার এক সপ্তাহের জন্য চলে যাচ্ছেন উত্তরবঙ্গ সফরে। তাই রবিবার সন্ধেবেলায় তড়িঘড়ি সময় চেয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করলেন শুভেন্দু অধিকারী। বিষয় একটাই রাজ্যের ভোট পরবর্তী রাজনৈতিক হিংসা পরিস্থিতি। বিরোধী দলনেতা হিসেবে তা নিয়ে এই মুহূর্তে বেশ উদ্বিগ্ন শুভেন্দু। রাজ্য সরকার শান্তিরক্ষায় ব্যর্থ, এই অভিযোগ তুলে তিনি রাজ্যপালকেই এ ব্যাপারে হস্তক্ষেপের আবেদন জানিয়েছেন।Unrelenting pursuit of justice for the opposition workers affected by the post poll violence. Met Honourable Governor @jdhankhar1 to further discuss the ways to put an end to it.#PoschimbongoDibos pic.twitter.com/KG9yv4Ws0U Suvendu Adhikari শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) June 20, 2021আরও পড়ুনঃ খুনের আগে অপহরণের নাটক, আগ্নেয়াস্ত্র-সহ গ্রেপ্তার আসিফের দুই বন্ধুরবিবার রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে শুভেন্দু অভিযোগ করেন, এই মুহূর্তে রাজ্যের পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ। মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েই চলেছে। বিরোধী দলের কর্মী, সমর্থকদের বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা দিয়ে জেলবন্দি করা হচ্ছে। নতুন সরকার নির্বাচিত হওয়ার পর এর চেয়ে খারাপ পরিস্থিতি আগে কখনও হয়নি পশ্চিমবঙ্গে, একথাও মনে করেন শুভেন্দু অধিকারী।

জুন ২০, ২০২১
কলকাতা

Suvendu Adhikari: একাধিক ইস্যু নিয়ে আজ রাজভবনে যাচ্ছেন বিজেপি বিধায়করা

বিজেপি বিধায়করা আজ বিকেলে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের (Governor Jagdeep Dhankhar) সঙ্গে দেখা করবেন। সূত্রের খবর, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে (Suvendu Adhikari) সঙ্গে রাজভবনে যাবেন বিজেপি বিধায়করা। রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও করোনা টিকা দুর্নীতিকরণ নিয়ে আলোচনা করবেন বিজেপি বিধায়করা।এর আগেও রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে বৈঠক করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। এরপর আচমকাই রাতারাতি শুভেন্দু অধিকারীকে তলব করে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। গত সোমবার দিল্লিতে যান শুভেন্দু অধিকারী। দেখা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে। দিল্লিতে অমিত শাহের বাসভবনে প্রায় ১৫ মিনিট বৈঠক করেন তিনি। সেখানে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েই আলোচনা করেন।তারপর দিনই দেখা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে। সেখানেই রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও ৩৫৬ ধারা প্রয়োগের যৌক্তিকতা নিয়ে আলোচনা হয় বলে সূত্রের খবর। এরপর আবার অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। এরপর বাংলায় ফিরে আসেন। উল্লেখ্যযোগ্য ভাবে, রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য ডাকা হয় তিন সাংসদ- নিশীথ প্রামাণিক, অর্জুন সিং ও সৌমিত্র খাঁকেও। তাঁদের সঙ্গে এবিষয়ে আলোচনা করা হয়। আজ, রাজ্যপালের সঙ্গে এই পরিস্থিতি নিয়েই বৈঠক করবেন বিজেপি বিধায়করা। তবে নির্বাচন পরবর্তী পরিস্থিতিতে যেভাবে দলবদলের হিড়িক পড়েছে, তাতে এদিনের বৈঠকের যথেষ্ট রাজনৈতিক তাৎপর্য রয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

জুন ১৪, ২০২১
কলকাতা

কোভিড আবহে ৭ মিনিটেই শেষ ৪৩ মন্ত্রীর শপথ

তৃতীয়বার পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতায় তৃণমূল সরকার। নন্দীগ্রাম থেকে কয়েকশো ভোটের ব্যবধানে হেরেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার নিজের মন্ত্রিসভা সাজিয়ে নেওয়ার পালা। রবিবারই সম্ভাব্য মন্ত্রীদের তালিকা প্রকাশ করেছেন তিনি। ১৬ নতুন মুখ-সহ মোট ৪৩ জন মন্ত্রীর শপথগ্রহণ হল আজ রাজভবনে। নবীন-প্রবীণের সমন্বয়ে তৈরি নয়া মন্ত্রিসভার সঙ্গে বৈঠকে বসবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।করোনা আক্রান্ত ব্রাত্য বসু রয়েছেন আইসোলেশনে। রাজভবনে নয়, ভার্চুয়াল মাধ্যমে তিনি শপথ নেন। একইভাবে শপথ নেস আরও দুই মন্ত্রী অমিত মিত্র, রথীন ঘোষ। অসুস্থতার কারণে এই সিদ্ধান্ত। রাজ্যপাল জগদীর ধনকড় সবাইকে শপথবাক্য পাঠ করান থ্রোন রুমে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজভবনে পৌঁছলে শপথের আগে তাঁকে প্রণাম করে আশীর্বাদ নিলেন বেশ কয়েকজন। কোভিড সকলে মেনে চলো, শপথ নিয়ে কেউ প্রণাম করতে এসো না, বললেন মুখ্যমন্ত্রী।এরপর শপথ অনুষ্ঠান শুরুর আগে শেষ মুহূর্তে আলোচনা সেরে নেন মুখ্যমন্ত্রী, মুখ্যসচিব ও বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর পূর্ণমন্ত্রী, স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী পদে কে কে শপথ নেবেন, তার তালিকা পড়েন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত এবং প্রতিমন্ত্রীদের একইসঙ্গে শপথ পড়ান রাজ্যপাল। নিজের জায়গায় দাঁড়িয়ে শপথ নিলেন তাঁরা। কোভিড আবহে অতি সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠান হয় এদিন। এতদিনের রীতি মেনেরাজ্যপালের পাশে দাঁড়িয়ে শপথ গ্রহণ করা হলনা এবার। ৭ মিনিটে ৪৩ জনের শপথ পর্ব শেষ হয়। অনুষ্ঠান শেষে একান্তে কথা বলেন রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রী।

মে ১০, ২০২১
রাজনীতি

মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েই কোভিড মোকাবিলা ও রাজ্যে হিংসা বন্ধের আবেদন মমতার

বুধবার রাজভবনে তৃতীয় বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ গ্রহণ করে উঠেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন, তাঁর প্রথম কাজ হবে রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলা করা। শপথ নেওয়ার পরে নবান্নে গিয়ে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করবেন বলে জানিয়েছেন মমতা।রাজভবনে তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করালেন রাজ্যপাল। আগামী ৫ বছর মানুষের দ্বারা নির্বাচিত সরকার মানুষের হয়ে, মানুষের জন্য কাজ করতে অঙ্গীকারবদ্ধ হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কোভিড পরিস্থিতিতে বর্ণাঢ্য নয়, বরং একেবারে অনাড়ম্বরেই হয়ে গেল শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান। সর্বসাকুল্যে অতিথি ছিলেন ৫০ জন। ছিলেন না সিপিএম, বিজেপির কোনও প্রতিনিধি।রাজ্যপালের থেকে শপথ বাক্য পাঠ করার পরে মমতা বলেন, তাঁর সরকারের প্রথম কাজ রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা। রাজভবন থেকে সরাসরি নবান্নে গিয়ে বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ বৈঠকে বসবেন তিনি। সেখানেই রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হবে। তার পর দুপুর ৩টের সময় সাংবাদিক বৈঠক করবেন মমতা। বৈঠকে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সেই বিষয়ে সবাইকে জানাবেন মুখ্যমন্ত্রী। এর আগে গত রবিবার নির্বাচনের ফল পরিষ্কার হতেই কালীঘাটে সাংবাদিকদের সামনে মমতা বলেছিলেন, তাঁর প্রথম কাজ হবে করোনা পরিস্থিতির মোকাবিলা করা। শপথ নেওয়ার পরেও সেই একই কথা শোনা গেল তাঁর মুখে।এদিন রাজ্যে নির্বাচন পরবর্তী হিংসা নিয়েও বলতে শোনা যায় তাঁকে। গত ৩ মাস রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে ছিল নির্বাচন কমিশন। এবার তিনি দায়িত্ব হাতে নিয়ে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা সামলাবেন বলেও জানান। এমনকী, যারা এই হিংসা ছড়ানোর কাজের সঙ্গে যুক্ত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি। রাজনৈতিক দলগুলোকেও রাজনৈতিক হিংসা থেকে বিরত থাকার আবেদন করেন। সমস্ত পাশাপাশি প্রতিহিংসাবশবর্তী হয়ে কোনও কাজ না করার আবেদনও করেন। এরপর নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীকে গার্ড অফ অনার দেওয়া হয়।

মে ০৫, ২০২১
কলকাতা

পদত্যাগের করে কেঁদে ফেললেন রাজীব

মন্ত্রিসভা ছাড়ার কারণ বলতে গিয়ে প্রকাশ্যে কেঁদে ফেললেন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। জানালেন, আড়াই বছর আগেই পদত্যাগ করব ভেবেছিলাম। সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী আটকেছিলেন। এবার ভগ্নহৃদয় নিয়েই দল ছাড়লাম। গত একমাস ধরে অনেক কিছু শুনেছি। তাই এই সিদ্ধান্ত।শুক্রবারই রাজ্যপালের কাছে পদত্যাগপত্র জমা করেন রাজীব। তারপর রাজভবনের বাইরে সাংবাদিক সম্মেলন করলেন তিনি। মন্ত্রিত্ব ছাড়লেও এখনও দল ছাড়েননি রাজীব। শুক্রবারের সাংবাদিক সম্মেলনে স্পষ্ট করে দিলেন প্রাক্তন বনমন্ত্রী। বললেন, আমাকে এত কাজ করতে দেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আমি কৃতজ্ঞ। মন্ত্রী না থেকেও মানুষের সেবা করা যায়। আমি সাধারণ কর্মী হিসেবেই কাজ করতে চাই। তবে এদিন দলের সতীর্থদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন তিনি। ক্ষোভ প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেও।প্রাক্তন বনমন্ত্রী বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে আরও একটু সৌজন্যতা আশা করেছিলাম। তিনি আরও জানান, আমার মনে অনেকদিন ধরেই ক্ষোভ-অভিমান জমছিল। সে কথা দলের বহু সতীর্থ এবং মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছিলাম। আর সহ্য করতে পারলাম না। তাই সরে দাঁড়ালাম। এদিকে,বিধানসভা ভোটের আগে রাজ্য রাজনীতিতে তোলপাড় অবস্থা। তৃণমূলের একাংশের মত, এই পদত্যাগ দলের কোনও ক্ষতি করবে না। আবার কারও মত, এভাবে রাজ্যের মন্ত্রীদের ইস্তফা দুর্ভাগ্যজনক। পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, উনিই বলতে পারবেন, কেন ছাড়লেন। নিশ্চয়ই কোনও অসুবিধা হচ্ছিল। তবে আমি বলব, এটা সঠিক সিদ্ধান্ত নয়। একদিন তাঁরা ঠিক বুঝবেন। হাওড়ার বালির বিধায়ক বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বলেন, এভাবে রাজ্য মন্ত্রিসভা থেকে একে একে সদস্যদের ইস্তফা দুর্ভাগ্যজনক। এতেই বোঝা যাচ্ছে, দলের একাংশে কতটা ঘুণ ধরেছে। আমি আগেই একথা বলেছিলাম। দলনেত্রী খুব যত্ন করে হাওড়ায় সংগঠন তৈরি করে দিয়েছিলেন। কিন্তু এখন তা ভেঙে পড়ছে। অন্যদিকে, রাজ্যের আরেক মন্ত্রী অরূপ রায় রাজীবের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে তেমন বিচলিত নন। তাঁর কথায়, দল কতদিন ধরে করছে? আমরা বহু আগে থেকে দল করছি। কেউ কেউ দলে নতুন যোগ দিয়ে, কাজ করার পরই যদি নানারকম বায়না, নালিশ করেন, তাহলে মুশকিল। যা হওয়ার তাই হয়েছে। এতে দলের কোনও ক্ষতি নেই। দল ঐক্যবদ্ধই রয়েছে।

জানুয়ারি ২২, ২০২১

ট্রেন্ডিং

বিনোদুনিয়া

শেষ জন্মদিনে স্ত্রীর কান্নাভেজা পোস্ট! ‘জন্মজন্মান্তরে আমাদের গল্প লিখব…’ জুবিনকে গরিমার শেষ চিঠি

প্রয়াণের পর প্রথম জন্মদিন। আজ ৫৩ বছরে পা দিতে পারতেন জনপ্রিয় গায়ক জুবিন গর্গ। তাঁর অকালমৃত্যুর ধাক্কা এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেননি কেউইবিশেষত অসমের মানুষ। কিন্তু সবচেয়ে বেশি ভেঙে পড়েছেন তাঁর স্ত্রী গরিমা সাইকিয়া। স্বামীর জন্মদিনে অদেখা একগুচ্ছ ছবি সোশালে পোস্ট করে আবেগে ভাসলেন তিনি। ছবির ক্যাপশনে লিখলেনজন্মজন্মান্তরে আমি আমাদের কাহিনী লিখে যাব। ভালো থেকো জুবিন। সেই কয়েকটি লাইনে যেন গরিমার মনের সব কথা ফুটে উঠল। শুধু স্ত্রী নন, জীবনের বহু লড়াইয়ে জুবিনের সবচেয়ে কাছের বন্ধু, ছায়াসঙ্গীও ছিলেন গরিমা।গত মাসেই জুবিনের শেষ সিনেমা রই রই বিনালের মুক্তির জন্য নিরন্তর লড়াই করেছিলেন গরিমা। একদিকে গায়কের মৃত্যুর রহস্য নিয়ে যখন অসম জুড়ে ক্ষোভ আর বিক্ষোভ, তখন সেই চাপের মধ্যেই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু তবুও শেষ কাজটি স্বামীর নামে সম্পূর্ণ করার জেদ ছাড়েননি তিনি।জন্মদিনে প্রিয় বন্ধুর স্মৃতিতে ডুবে গেলেন সঙ্গীত পরিচালক জিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ও। সোশালে তিনি লিখলেন, শুভ জন্মদিন আমার প্রিয় বন্ধু। কিছু মানুষ কখনও আমাদের ছেড়ে যান না, সঙ্গেই থেকে যান। তুমি তেমনই। তোমার সুরে তুমি বেঁচে থাকবে। তোমাকে আজ খুব মনে পড়ছে।জুবিনের মৃত্যু নিয়ে রহস্য এখনও কাটেনি। সিঙ্গাপুরে নর্থ ইস্ট ফেস্টিভ্যালে যোগ দিতে গিয়ে ঘটে যায় বিপদ। স্কুবা ডাইভিং করার সময় হঠাৎ শ্বাসকষ্ট শুরু হয় তাঁর। দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষরক্ষা হয়নি। পরদিনই ছিল তাঁর পারফরম্যান্স, কিন্তু তার আগেই হারিয়ে গেলেন অসমের তারকা। আজ তাঁর জন্মদিনে সেই ঘটনাই নতুন করে কষ্ট দিচ্ছে অনুরাগীদের। মনে পড়ছে গায়কের হাসি, গান আর অকৃত্রিম মায়াভরা উপস্থিতি।আজকের দিনটা তাই শুধুই জন্মদিন নয়অসমের মানুষের কাছে আজ স্মরণ, বেদনা আর গভীর ভালোবাসার দিন। জুবিন নেই, কিন্তু তাঁর সুর, তাঁর গল্প, তাঁর স্মৃতি আজও ভেসে বেড়ায় অনুরাগীদের হৃদয়ে।

নভেম্বর ১৮, ২০২৫
দেশ

“জেডিইউ ২৫ পার করলে সন্ন্যাস”—নিজের ভবিষ্যদ্বাণী ভুল প্রমাণিত, এবার নীতীশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ পিকে’র

বিহার নির্বাচনের আগেই প্রশান্ত কিশোর ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, জেডিইউ যদি ২৫টির বেশি আসন পায় তবে তিনি সন্ন্যাস নিয়ে নেবেন । কিন্তু সেই ভবিষ্যদ্বাণীকে সম্পূর্ণ ভুল প্রমাণ করে এনডিএ বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে আর জেডিইউ এককভাবে জিতেছে ৮৫টি আসন। বিপরীতে পিকে গঠিত জন সুরজ পার্টির ঝুলিতে এসেছে বিশাল শূন্য। এমন পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ক্ষোভ-অসন্তোষে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন দেশের অন্যতম ভোট-কুশলী।সাংবাদিকদের প্রশ্নে নিজের সন্ন্যাস সংক্রান্ত মন্তব্য থেকে কার্যত পিছিয়ে এসে পিকে বলেন, তিনি কোনও রাজনৈতিক পদে নেই, তাই পদত্যাগ বা সরে দাঁড়ানোর প্রশ্নই ওঠে না। হার সত্ত্বেও তিনি বিহারেই থাকবেন, বিহারের গ্রাম-শহরেই ঘুরে বেড়াবেন। হাসিমুখে দাবি করেন, তাঁর ভবিষ্যদ্বাণীর দ্বিতীয় অংশ অন্তত ঠিক হয়েছে, জন সুরজ যে হয় শীর্ষে থাকবে, নয়তো একেবারে নিচেঠিকই তাই হয়েছে, কারণ শূন্য আসন মানেই নিচে পৌঁছনো।কিন্তু হাসির আড়ালে লুকিয়ে ছিল তীব্র ক্ষোভ। সরাসরি নীতীশ কুমারের দিকে আঙুল তুলে পিকে অভিযোগ করেন, বিহারে টাকা বিলি করে ভোট কেনা হয়েছে। তাঁর দাবি, নির্বাচনের ঠিক আগে মুখ্যমন্ত্রী মহিলা রোজগার যোজনার নামে মহিলাদের কাছে ১০ হাজার টাকা পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল ভোট প্রভাবিত করার উদ্দেশ্যে। তিনি বলেন, কোনও উন্নয়ন প্রকল্পে এমন তড়িঘড়ি টাকা দেওয়ার নজির নেই, তাই এটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভোট-লেনদেন ছাড়া আর কিছু নয়।প্রশান্ত কিশোর এখানেই থামেননি। তিনি নীতীশকে নতুন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলেন, সরকারি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী যদি ছমাস পর মহিলাদের হাতে ২ লক্ষ টাকা করে প্রকৃত অর্থে তুলে দেওয়া হয়, তবে তিনি শুধু রাজনীতি নয়বিহার রাজ্যটাই ছেড়ে দেবেন। তাঁর কথায়, ভোট কেনার জন্যই সরকারি প্রকল্পের নাম করে নগদ টাকা বিলি করা হয়েছে।জন সুরজের লজ্জার হারের দায়ও নিজের কাঁধে নিলেন পিকে। তিনি স্বীকার করেন, সততার সঙ্গে লড়াই করলেও তারা মানুষের বিশ্বাস অর্জন করতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে, ফলে হারটাকে মেনে নিতে আপত্তি নেই। নির্দেশিত ২৩৮টি আসনে লড়াই করে ২৩৬টিতেই জন সুরজের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। তবুও ভোট শতাংশের হিসেবে তারা বিএসপি, সিপিআই-এমএল, মিমসহ বেশ কিছু দলের থেকে বেশি ভোট পেয়েছে এবং ৩.৪ শতাংশ ভোট দখল করায় পিকে তা ভবিষ্যতের সম্ভাবনা হিসেবে দেখছেন।এত বড় রাজনৈতিক ধাক্কার পরও প্রশান্ত কিশোরের লড়াই থামছে না, বরং নতুন অভিযোগ, নতুন চ্যালেঞ্জে বিহারের রাজনীতিতে নতুন অস্থিরতা তৈরি হয়েছে বলেই রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

নভেম্বর ১৮, ২০২৫
বিদেশ

হাসিনার অনুপস্থিতিতেই মৃত্যুদণ্ড? রাষ্ট্রসংঘের কড়া প্রশ্ন বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থাকে

জুলাই বিক্ষোভে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে যে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে, সেই রায়ের বিরুদ্ধে এবার সরব হল রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কমিশন। আন্তর্জাতিক মহলে প্রশ্ন উঠছেএই বিচার কি আদৌ ন্যায়সঙ্গত? সব মিলিয়ে মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে তৈরি বিচারব্যবস্থা ও তাঁর ক্যাঙারু আদালত বলতে শুরু করেছেন অনেকেই। কারণ, আদালত ঘোষণার আগেই যেন স্ক্রিপ্ট লিখে ফেলা হয়েছিলহাসিনা ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের ফাঁসির সাজা।রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কমিশনের মুখপাত্র রবিনা সামদাসানি এক বিবৃতিতে জানান, এই রায় নিয়ে তাদের গভীর উদ্বেগ রয়েছে। তাঁর কথায়, গত বছরের বিক্ষোভ দমনের সময় যে ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছিল, সেই ঘটনার সঠিক বিচার অত্যন্ত প্রয়োজন। কিন্তু বাংলাদেশের আদালতের বিচারপ্রক্রিয়া সম্পর্কে রাষ্ট্রসংঘের হাতে যথেষ্ট তথ্য নেই। তবুও আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে বিচার হওয়া উচিতএটাই তাঁদের বার্তা।রবিনা আরও বলেন, অভিযুক্ত শেখ হাসিনা আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। অনুপস্থিতিতেই তাঁকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়টি নিয়ে রাষ্ট্রসংঘ স্পষ্ট জানিয়ে দেয়যে পরিস্থিতির মধ্যেই হোক না কেন, তারা এমন বিচারকে সমর্থন করে না। তাঁদের আশা, বাংলাদেশ সত্যিকারের ন্যায়বিচারকে গুরুত্ব দিয়ে পরিস্থিতি সামলাবে।রাষ্ট্রসংঘের পাশাপাশি হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। সংস্থার মহাসচিব অ্যাগনেস কালামার্ড একেবারে সরাসরি মন্তব্য করেছেনজুলাই বিক্ষোভের সময় মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা সত্যিই ভয়াবহ ছিল, কিন্তু সেই অপরাধের বিচার হতে হবে সুষ্ঠুভাবে। এই বিচারপক্রিয়া না সঠিক, না আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মেনে হয়েছে। তাঁর কথায়, মৃত্যুদণ্ড এমনিতেই অত্যন্ত নিষ্ঠুর, অমানবিক ও অপমানজনক শাস্তি। আধুনিক কোনও ন্যায়বিচার ব্যবস্থায় মৃত্যুদণ্ডের জায়গাই নেই।সব মিলিয়ে, আন্তর্জাতিক সমাজের একাংশের চোখে পুরো বিচার ব্যবস্থাটাই এখন প্রশ্নের মুখে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক টানাপোড়েনের মাঝেই এই রায় আরও অস্থিরতা বাড়াতে পারে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।

নভেম্বর ১৮, ২০২৫
কলকাতা

পুর নিয়োগ দুর্নীতি: ইডির জালে এবার মন্ত্রীর মেয়ে! জানুন কী কী প্রশ্ন ঝুলছে

পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তদন্তের গতিবেগ আরও তীব্র করল ইডি। দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুর মেয়ে মোহিনী বসু মঙ্গলবার দুপুরে সল্টলেকের ইডি দফতরে হাজিরা দিলেন। সঙ্গে ছিলেন তাঁর আইনজীবীও। ঠিক তার আগের দিনই সুজিত বসুর জামাইকে কয়েক ঘণ্টা জেরা করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ফলে আজ মোহিনীর জিজ্ঞাসাবাদ ঘিরে তৈরি হয় বিশেষ আগ্রহ।এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে ইতিমধ্যেই কলকাতার নানা জায়গায় অভিযান চালিয়েছে। তল্লাশি চলে মন্ত্রী সুজিত বসুর সল্টলেকের বাড়িতে, তাঁর অফিসে এবং তাঁর ছেলের রেস্তরাঁতেও। এই দীর্ঘ তল্লাশিতে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার করার পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ নগদও পায় ইডি। তার পর থেকেই তদন্তের ফোকাস পরিবারে কার কী ভূমিকায় পড়েছে সেই দিকেও ঘুরে যায়।গত সপ্তাহেই মন্ত্রীর স্ত্রী, পুত্র ও কন্যাকে তলব করে পাঠায় ইডি। তাঁদের সবার কাছে চাওয়া হয়েছিল ব্যাঙ্ক সংক্রান্ত নথি, ঋণের তথ্য এবং আর্থিক লেনদেনের ডকুমেন্টস। সেই নির্দেশ মেনেই মঙ্গলবার দুপুরে ইডির দপ্তরে হাজির হন মোহিনী বসু। তাঁর সঙ্গে বেশ কিছু নথিও ছিল বলে সূত্রের দাবি।হাজিরা দিতে গিয়ে সাংবাদিকদের কোনও প্রশ্নের উত্তর দেননি তিনি। প্রায় কয়েক ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে বলেই ইডি সূত্রে খবর। তদন্তকারীদের দাবিপুর নিয়োগ দুর্নীতি থেকে যে টাকা উঠেছিল, তা কোথায় কোথায় বিনিয়োগ হয়েছে, কোন কোন ব্যবসায় ব্যবহার করা হয়েছে, বিশেষত হোটেল ও রেস্তরাঁ ব্যবসায় কোনও অর্থ ঢুকেছে কি নাতা খতিয়ে দেখতেই মন্ত্রীকন্যাকে তলব করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থেই তাঁর সঙ্গে থাকা নথিগুলি খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন আধিকারিকরা।ইডি মনে করছে, এই দুর্নীতির টাকায় একাধিক লেনদেন হয়েছে, এবং পরিবারের সদস্যদের অ্যাকাউন্টে তার ছাপ থাকতে পারে। তাই তদন্তে এই জিজ্ঞাসাবাদকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ মনে করা হচ্ছে।

নভেম্বর ১৮, ২০২৫
দেশ

নকশাল দমন অভিযানে ঐতিহাসিক সাফল্য! নিহত কুখ্যাত মদভি হিদমা ও তার স্ত্রী

ভারতের নকশালবিরোধী অভিযানে বড় সাফল্য। দীর্ঘদিন ধরে নিরাপত্তাবাহিনীর মাথাব্যথার কারণ হওয়া শীর্ষ মাওবাদী কমান্ডার মদভি হিদমা অবশেষে নিহত। অন্ধ্রপ্রদেশের আল্লুরী সীতারামারাজু জেলার গভীর জঙ্গলে সোমবার ভোরে তুমুল বন্দুকযুদ্ধের মধ্যেই শেষ হয় দেশের সবচেয়ে কুখ্যাত নকশাল নেতাদের এক জনের অধ্যায়। হিদমার সঙ্গে তার স্ত্রী রাজে ওরফে রাজাক্কাসহ মোট ছয় মাওবাদীর দেহ উদ্ধার হয়েছে। নিহতদের মধ্যে আরও আছেন চেল্লুরি নারায়ণ ওরফে সুরেশ, এসজেডসিএম এবং টেক শঙ্কর।ঘটনাস্থল মারুদ পল্লি। পশ্চিম গোদাবরী জেলার গভীর অরণ্যের এক এমন জায়গা, যেখানে ছত্তীসগড়, তেলঙ্গানা ও অন্ধ্রপ্রদেশের সীমানা মিলেছে। স্থানীয় সময় সকাল প্রায় ছটা। ঘন জঙ্গলের নিস্তব্ধতা ভেঙে গুলির শব্দে কেঁপে ওঠে তিন রাজ্যের মিলনসীমা। বিশ্বস্ত গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে নিরাপত্তাকর্মীরা রাতে থেকেই ওই এলাকায় কম্বিং অপারেশন শুরু করেছিলেন। জঙ্গলের ভেতরে মাওবাদীরা ক্যাম্প গেড়েছেএমন তথ্য পাওয়ার পরই যৌথ বাহিনী অভিযানে নামে। মুখোমুখি সংঘর্ষ শুরু হতেই দুপক্ষের মধ্যে টানা গুলির লড়াই চলে। সংঘর্ষ থামার পর ধীরে ধীরে জঙ্গল থেকে বেরিয়ে আসে হিদমাসহ ছয়জনের নিথর দেহ।পুলিশ জানিয়েছে, অভিযান এখনও চলছে। জঙ্গলের ভেতর আরও মাওবাদী লুকিয়ে থাকতে পারে বলে সন্দেহ। তবে সবচেয়ে বড় খবরমদভি হিদমার মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ায় নিরাপত্তাবাহিনী ও গোয়েন্দা মহলে স্বস্তির হাওয়া। ১৯৮১ সালে ছত্তীসগড়ের সুকমায় জন্ম হিদমার মাথার দাম ছিল ৫০ লক্ষ টাকা। সিপিআই (মাওবাদী)-র সবচেয়ে প্রভাবশালী নেতাদের মধ্যে একসময় তার নাম প্রথম সারিতে ছিল। কমপক্ষে ২৬টি বড় হামলার মূল ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে বহু বছর ধরে তার সন্ধানে ছিল দেশের বিভিন্ন নিরাপত্তা সংস্থা। কয়েকটি রাজ্যের সীমান্তজুড়ে তার টিমের ত্রাসের জন্য তাকে ধরা প্রায় অসম্ভব বলে মনে করা হত। এবার সেই অধ্যায় শেষ।এই অভিযানের পরে গোটা অঞ্চলেই নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হয়েছে। গ্রামবাসীদের নিরাপদ স্থানে সরানো হচ্ছে। পুলিশ সূত্রের দাবি, এ অপারেশন নকশাল নেটওয়ার্কে বড় ধাক্কা দেবে এবং আগামী দিনগুলোতে আরও একাধিক জঙ্গলের গভীরে একই ধরনের অভিযান চালানো হতে পারে।

নভেম্বর ১৮, ২০২৫
দেশ

২৫ জায়গায় একযোগে তল্লাশি, জেরা চেয়ারম্যান— আল ফালাহ নিয়ে কেন এত সন্দেহ?

দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডের তদন্ত যত এগোচ্ছে, ততই নতুন নতুন চাঞ্চল্যকর তথ্য মিলছে। এবার সরাসরি তদন্তকারীদের নজর গিয়ে পড়ল ফরিদাবাদের আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে। মঙ্গলবার সকাল হতেই ইডি দিল্লির অফিসে হানা দিয়ে শুরু করে তল্লাশি। শুধু দিল্লি নয়, আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত মোট ২৫টি জায়গায় একযোগে তল্লাশি চালাচ্ছেন আধিকারিকরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ারম্যান জাভেদ আহমেদ সিদ্দিকির বাড়িতেও পৌঁছে যায় ইডি। সেখানেই তাঁকে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত একাধিক প্রশ্নে জেরা করা হচ্ছে বলে খবর।আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে পিএমএলএ আইনে মামলা রুজু হয়েছে। তদন্তকারীদের সন্দেহ, বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক লেনদেনের বড় অংশই পরিষ্কার নয়। এমনকী কিছু টাকা বেআইনি কাজে বা জঙ্গি তৎপরতার চক্রে ঢুকে গিয়েছে কি না, সেদিকেও নজর দিচ্ছে ইডি। কারণ বিস্ফোরণকাণ্ডে ইতিমধ্যেই উঠে এসেছে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক চিকিৎসকের নাম উমর-উন-নবি, ডক্টর মুজাম্মিল, ডক্টর শাহীন সইদসহ আরও কয়েকজন। তদন্তকারীরা খতিয়ে দেখছেন, এই চিকিৎসকদের অ্যাকাউন্টে যে মোটা অঙ্কের লেনদেন ধরা পড়েছে, তা কোনওভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিল থেকে গেছে কি না। যদি গিয়ে থাকে, তা কী উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়েছিল, তারও উত্তর খুঁজছে কেন্দ্রীয় সংস্থা।শুধু ইডিই নয়, আলাদা ভাবে তদন্ত শুরু করেছে দিল্লি পুলিশের আর্থিক দুর্নীতিদমন শাখা। অন্যান্য কেন্দ্রীয় সংস্থাও পরিস্থিতি খুব কাছ থেকে নজর রাখছে। ফলে আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্র করে একের পর এক প্রশ্ন আরও ঘনীভূত হচ্ছে।দিল্লির লালকেল্লার সামনে ১০ নভেম্বর ঘটে ভয়াবহ বিস্ফোরণ। সেই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। তদন্তে নেমেছে এনআইএ। তারই মাঝেই বিশ্ববিদ্যালয়-সংক্রান্ত আর্থিক যোগসূত্র সামনে আসায় তদন্তকারীদের সন্দেহ আরও গভীর হয়েছে। বিস্ফোরণের পরবর্তী তদন্ত এখন একেবারে নতুন দিকের দিকে মোড় নিচ্ছে, এবং তাতে আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা এখন তদন্তের কেন্দ্রে।

নভেম্বর ১৮, ২০২৫
রাজ্য

ফর্ম না–পাওয়া নিয়ে উদ্বেগ, পূর্ব পুটিয়ারিতে বৃদ্ধার মৃত্যুর পর আলোচনায় প্রশাসনিক বিভ্রান্তি

কলকাতার পূর্ব পুটিয়ারিতে ঘটে গেল এক মর্মান্তিক ঘটনা। এনুমারেশন ফর্ম নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগতে থাকা এক বৃদ্ধা আগুনে পোড়া অবস্থায় প্রাণ হারালেনএমনই দাবি করেছেন তাঁর পরিবার। মৃতার নাম যমুনা মণ্ডল, বয়স ৬৭। পরিবার জানিয়েছে, বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR) প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে এলাকায় ভোটার এনুমারেশন ফর্ম বিলি হচ্ছিল। আশপাশের বাড়িগুলিতে ফর্ম পৌঁছোলেও তাঁদের বাড়িতে পৌঁছায়নি। সেই কারণেই যমুনা দেবী অস্বাভাবিক আতঙ্কে ভুগছিলেন।যমুনার ছেলে মৃত্যুঞ্জয় মণ্ডল বলেন, তাঁর মায়ের আগে থেকেই স্নায়ুর সমস্যা ছিল। ফর্ম না পাওয়ায় উদ্বেগ আরও বেড়ে যায়। গত শনিবার তাঁরা অবশেষে এনুমারেশন ফর্ম পান। কিন্তু তাতেও যমুনা দেবীর ভয়ের অবসান হয়নি বলে দাবি পরিবারের। সোমবার সকালে গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় তাঁকে এমআর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়।এদিকে দক্ষিণ দমদম থেকেও সামনে এসেছে আর-একটি মর্মান্তিক ঘটনা। সেখানকার আরএন গুহ রোডের বাসিন্দা বৈদ্যনাথ হাজরা, বয়স ৪৬, কয়েকদিন ধরে এসআইআরসংক্রান্ত দুশ্চিন্তায় ভুগছিলেন বলে জানিয়েছেন তাঁর পরিবার। তাঁদের অভিযোগ, বৈদ্যনাথ বাবুর ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নাম ছিল নাএই বিষয়টি তাঁকে মানসিকভাবে অস্থির করে তুলছিল। দুদিন আগে গভীর রাতে তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। তাঁর মোবাইল ফোন বাড়িতেই পড়ে ছিল। পরে সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায় তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন। আজ তাঁর দেহ উদ্ধার হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। পরিবারের দাবি, এসআইআরনিয়ে তৈরি হওয়া ভয়ই তাঁকে চরম পদক্ষেপে ঠেলে দিয়েছে।এসআইআর প্রক্রিয়া শুরুর পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ভয় ও বিভ্রান্তির অভিযোগ উঠছে। এই ঘটনাগুলিকে কেন্দ্র করে তৃণমূল কংগ্রেস জাতীয় নির্বাচন কমিশন ও বিজেপিকে দায়ী করেছে। আবার বিজেপির অভিযোগ, আতঙ্ক ছড়িয়ে ভোট রাজনীতি করছে রাজ্যের শাসকদলই।ঘটনাগুলি নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক তরজা চরমে উঠেছে। কিন্তু দুই পরিবারের মর্মান্তিক ক্ষতি পাহাড়প্রমাণ প্রশ্ন তুলছেএসআইআরসম্পর্কে সাধারণ মানুষের মধ্যে এত ভয় ও বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে কেন, এবং এই আশঙ্কা দূর করতে প্রশাসনের আরও সক্রিয় ভূমিকা প্রয়োজন কি না।(মানসিক চাপ বা সংকটে থাকলে যেকোনও সময় কিরণ ১৮০০-৫৯৯-০০১৯ হেল্পলাইনে সাহায্য পাওয়া যায়।)

নভেম্বর ১৮, ২০২৫
দেশ

দিল্লি বিস্ফোরণের আগেই ‘সুইসাইড বোমার’ হওয়ার প্রস্তুতি! জেরায় ফাঁস দানিশের চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি

দিল্লি বিস্ফোরণ-কাণ্ডে নয়া মোড়। আত্মঘাতী হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেনএমনই সন্দেহে পাকড়াও করা হল উমরের ঘনিষ্ঠ সহযোগী জাশির বিলাল ওয়ানিকে, যাঁকে দানিশ নামেই চিনত গোটা শ্রীনগর। এনআইএ-র একটি বিশেষ দল গোপন সূত্রের খবরের ভিত্তিতে প্রথমে তাঁকে শ্রীনগরেই আটক করে। পরে জেরা চলতে থাকতেই উঠে আসে বিস্ফোরণের দিনেদুজনের ভূমিকাসহ একাধিক চমকে দেওয়া তথ্য। দিন তিনেক আগে অনন্তনাগে গোপনে লুকিয়ে থাকা দানিশকে পাকড়াও করা হয়। তদন্তকারীদের মতে, দিল্লি বিস্ফোরণের পরিকল্পনা টেবিলে বসেই উমরের সঙ্গে মিলিতভাবে তৈরি করেছিলেন তিনি। শুধু পরিকল্পনাই নয়আত্মঘাতী হামলায় অংশ নেওয়ার জন্য মানসিকভাবে নিজেকে প্রস্তুত করছিলেন দানিশ নিজেও। শেষ মুহূর্তে কোনও অজানা কারণে সেই সিদ্ধান্ত আর বাস্তবায়িত হয়নি। কিন্তু তার আগেই হাতেনাতে ধরা পড়ে যায় শ্রীনগরের এই যুবক।তদন্তকারীদের কাছে দানিশ স্বীকার করেছেন, কাশ্মীরের একটি মসজিদে উমরের সঙ্গে প্রথম আলাপ। সেখান থেকেই সম্পর্ক ঘনিয়ে ওঠে। উমরের প্রভাবেই তাঁর মনে জিহাদের পথে পা বাড়ানোর ইচ্ছা জন্মায়। ধীরে ধীরে আত্মঘাতী হামলার জন্য নিজের মনকে তৈরি করতে শুরু করেন তিনি। তদন্তকারীরাও বিস্মিতকারণ দানিশ বুদ্ধিমত্তায় ও প্রযুক্তিগত দক্ষতায় অত্যন্ত চৌকস। ড্রোন, রকেট-লঞ্চারের মতো জটিল অস্ত্র তৈরি করতে তাঁর দক্ষতার কথাও উঠে এসেছে জেরায়। এমনকি, দিল্লি বিস্ফোরণের জন্য ব্যবহৃত মারাত্মক বিস্ফোরক তৈরিও দানিশই নাকি করেছিলেন, যা পরে তিনি তুলে দেন উমরের হাতে।এখন দফায় দফায় জেরা চলছে। দানিশের কাছ থেকে বেরিয়ে আসছে বিস্ফোরণ-কাণ্ডের নেপথ্যের অজানা সুত্র। কিন্তু ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে আর-একটি পতন ঘটে দানিশের পরিবারের উপরছেলের বিরুদ্ধে জঙ্গি-যোগের অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতেই মানসিক চাপে ভেঙে পড়ে তাঁর বাবা। বাড়ির মধ্যেই আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। গোটা এলাকায় নেমে আসে স্তব্ধতা ও শোকের ছায়া।

নভেম্বর ১৮, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal